নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলী - ভোরের শান্ত পরিবেশ মুহূর্তে ভয়ঙ্কর আতঙ্কে পরিণত হল। হঠাৎ করেই শোনা গেল পরপর তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দ। বিস্ফোরণের সেই তীব্র কম্পনে চমকে ওঠেন এলাকাবাসী। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আগুন দাউ দাউ করে ছড়িয়ে পড়ে চারদিক জুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে প্রথমে একটি চপের দোকান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রচণ্ড তাপে আশপাশের দোকানগুলো মুহূর্তে আগুনে গ্রাস হয়ে যায়। সেই দোকানের পাশাপাশি দুটি রেস্তোরাঁ, একটি ফুলের দোকান ও আরও কয়েকটি ছোট দোকান মিলিয়ে মোট ছয়টি দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কিছু বোঝার আগেই দোকানের ভেতরের সমস্ত জিনিসপত্র ধ্বংস হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড শব্দেকেঁপে ওঠে আশপাশ। স্থানীয়রা প্রাণপণে জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকল বিভাগ ও পুলিশকে। একটি ইঞ্জিন নিয়ে দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সৌভাগ্যবশত কোনো প্রাণহানি ঘটেনি, তবে কয়েক মিনিটের মধ্যে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ বিপুল।

দমকলের প্রাথমিক অনুমান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। তবে কেন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটল, সেই কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল বিভাগ । দমকল ও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আগুনের উৎস এবং বিস্ফোরণের আসল কারণ খুঁজে বের করতে ফরেনসিক দলও তদন্তে নামবে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের অভিযোগ, বিশ্বকর্মা পুজোর ঠিক আগে এমন দুর্ঘটনা তাঁদের জীবিকায় বড় ধাক্কা দিল।

উৎসবের মরসুমে নতুন পণ্য মজুত করে ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তাঁরা। মুহূর্তের মধ্যে সেই সমস্ত পণ্য, দোকানের আসবাব, যন্ত্রপাতি সব শেষ হয়ে গেছে। ক্ষতির অঙ্ক কোটি ছুঁতে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সময়মতো দমকল না এলে আগুন আরও ভয়ঙ্কর আকার নিত ও আশপাশের বাড়িঘরও বিপদের মুখে পড়ত।
দোকানদার পুলক বেরা জানান “আমি কাল দোকান থেকে বেরোনোর পরেও সব স্বাভাবিক ছিলো। হঠাৎ সকাল ৭ টা নাগাদ দোকান আসবো বলে বেরোনোর সময় ফোন আসে। এখানে এসে দোকানের কাছে যেতেই পারিনি, সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ধার করে অনেক জিনিস কিনেছিলাম। পুজোর আগে কিকরে সামাল দেবো এমন পরিস্থিতি সত্যি বুঝতে পারছিনা।”

স্থানীয় বাসিন্দা পার্থপ্রতিম পাল জানান, “যেসব দোকানগুলি আগুনে ভস্মীভূত হয়েছে তাদের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই দোকান তাই তাদের একমাত্র আর্থিক খরচ চালানোর সম্বল ছিল।এমন পরিস্থিতিতে তাদের পায়ের তোলার মাটি সরে যাওয়ার জোগাড় হয়েছে।খুব শীঘ্রই যেন এই গরিবমানুষ গুলোর জীবনবাপনে স্বাভাভিকতা ফিরে আসে, এটাই প্রার্থনা করব।”

মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের
আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিরোধীদের
বৈধ নাগরিক হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে বীরভূমের ৫ যুবক
স্থানীয়দের আশ্বাস উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর
তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ
সীমান্ত অনুপ্রবেশে বাড়ছে উদ্বেগ
অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ দাবি পরিবারের
বিশালাকার মিছিল নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা
আহত হাতিটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বন দফতরের কর্মীরা
সরকারকে ইমেল করা হলেও জবাব পায়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীর
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের
শাসক দলের কৰ্মসূচিতে যোগদান না করায় মারধরের অভিযোগ
বিশেষ চেকিংয়ের পরেই কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস