নিজস্ব প্রতিনিধি, হুগলী- স্বপ্নাদেশে নদীর জলে পাওয়া এক শিলা মূর্তি থেকেই শুরু। আজও টানা প্রায় ৫০০ বছর ধরে চলছে ‘বড়মা কালীর’ পুজো। বিশাল ২২ ফুট উচ্চতায় পূজিত হন দক্ষিণাকালী রূপে বড়মা। মায়ের মাহাত্ম্যে বিশ্বাস করে আজও দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন মানত পূরণে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে হুগলীর বৈঁচিগ্রাম উত্তরপাড়ার ‘বড়মা কালীপুজো’। গ্রামের এই দক্ষিণাকালী দেবীকে ঘিরে আজও ভক্তদের ভক্তি, বিশ্বাস আর উৎসবের আবহে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী, বহু বছর আগে নদীর ধারে এক তান্ত্রিক তন্ত্রসাধনা করতেন। এক রাতে স্বপ্নাদেশে তিনি দেখেন নদীর জলে একটি শিলা মূর্তি ভেসে এসেছে। সকালে নদী থেকে সেই শিলা মূর্তি উদ্ধার করেন তিনি, যেটিই আজকের “ছোট বড়মা”।
এরপর তিনি মাটি দিয়ে বিশাল এক কালী মূর্তি তৈরি করে শুরু করেন পূজা। সেই থেকেই বৈঁচিগ্রামে শুরু হয় বড়মার পূজা।
বর্তমানে সেই ছোট শিলা মূর্তি সারা বছর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার এক ব্রাহ্মণ পরিবারের বাড়িতে রাখা থাকে এবং নিত্যপুজো হয়। কালীপুজোর সময় মন্দিরে এনে একসঙ্গে পূজিত হন শিলা মূর্তি ও বড় মাটির মূর্তি। মন্দিরেই রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন, যেখানে বসে পূজা সম্পন্ন করেন পুরোহিত। বড়মার মূর্তি তৈরির কাজ শুরু হয় লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে। দেড় কাহন খড়, ৩০ বস্তা এটেল মাটি ও ১৫ বস্তা গঙ্গামাটিতে গড়ে তোলা হয় দেবীর বিশাল কাঠামো। দেবীর ডান পা থাকে মহাদেবের বুকে, আর মুখের এক পাশে রাখা হয় কালো দাগ। স্থানীয়দের বিশ্বাস, এটি মায়ের “দাঁত পড়ে যাওয়া” চিহ্ন, কারণ মা নাকি বয়সে প্রবীণ!
পুজো শুরু হয় মধ্যরাতে, চলে নিশিভোর পর্যন্ত। ভাইফোঁটার দিন হয় দেবীর বিসর্জন। বিসর্জনের বিশেষত্ব হলো, এখানে দেবীকে চারপাড়া ঘোরানো হয় না। বরং লোহার চাকার কাঠামোয় দেবীকে বসিয়ে কাছের পুকুরে দেওয়া হয় বিসর্জন।পুজোর পরদিন হয় হরিশডালা, যেখানে মুড়ি, চিঁড়ে, বাদামসহ আটরকমের ভাজা দিয়ে মা’কে নিবেদন করা হয়। পাশাপাশি আখ, ছাঁচি কুমড়ো ও পশুবলির প্রথাও আজও চালু আছে।
আগে টালির চালের ছোট ঘরে পূজিত হতেন বড়মা। এখন গ্রামবাসীদের উদ্যোগে গড়ে উঠেছে পাকা মন্দির, আর পুজোর যাবতীয় দায়িত্ব সামলান বড়মা কালী বারোয়ারি পুজো কমিটি। নদী বুজে আজ গড়ে উঠেছে জনবসতি, পাকা রাস্তা, আলো, মন্দির। তবু বড়মার মাহাত্ম্য আজও ঠিক আগের মতোই অটুট।
গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা উদয়চাঁদ দাঁ বলেন, “এই মা খুব জাগ্রত। যে ভক্ত মন থেকে মানত করে, মা তার ডাক শুনে নেন। কালীপুজোর সময় আশপাশের জেলা তো বটেই, দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ আসে মায়ের পায়ে প্রণাম দিতে।”
মূর্তি তৈরি করেন স্থানীয় শিল্পী রমেশ হাজরা, যিনি টানা ১৭ বছর ধরে এই কাজ করছেন। তিনি জানান, “তিন দিন ধরে খড় বাঁধা হয়, তারপর মাটির কাজ শুরু। পুজোর আগের দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে রঙ ও সাজসজ্জা।” মূর্তির রঙ তৈরি হয় ভুষোকালি, ডেলা নীল বেলা এবং গদ আঠা মিশিয়ে, অন্য কোনো রঙ ব্যবহার করা হয় না।
ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ডে সাহায্যের আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর
রাস্তার সিসিটিভি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
পাথর বোঝাই ট্রাক থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের ও অভিযুক্ত গ্রেফতার
বুধবার আদালতে পেশ করা হবে নির্যাতিতার সহপাঠীকে
সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ বিজেপি বিধায়িকার , সাবিনার মন্তব্যে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক
মালদহের রথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শামসুন নেহার অভিযোগ করলেন, দলেরই একাংশের চক্রান্তে প্রাণনাশের হুমকি, স্বামীর উপর হামলার পর আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁর
শিলিগুড়ির অন্যতম আকর্ষণ এই পুজো
অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম বেড়েছে প্রদীপের
মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনী
সভামঞ্চে ডাকা হয়নি মহিলা নেত্রীদের, জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়া কর্মীদের কান্না – প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
“আমি অ্যাক্সিডেন্টাল বিধায়ক, রাজনীতিবিদের চেয়ে অভিনেতা হিসেবেই থাকতে চাই” - বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে অকপট চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী
দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে ভোটের আগে মালদহ সফর শুভঙ্কর সরকারের
পুলিশের তোলাবাজির ঘটনায় উত্তাল সিউড়ি
ধৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নয়া মোড়
ট্রাম্পের নোবেল হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ
বিক্ষোভ রুখতে নির্মম দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে গাজা
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ প্রশাসনের