নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর - রাতের অন্ধকারের পূর্ণ নিস্তব্ধতা ভেঙে হঠাৎ হামলা। শিল্পালয়ে ঢুকে একের পর এক মাটির প্রতিমা ভাঙচুর দুষ্কৃতীদের। প্রায় ৪০টি লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমা ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র এলাকায়।

সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার গণপতিনগরে, হলদিয়া-মেছেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে উত্তর নারকেলদা হাটের কাছে।শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎই দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় এক মৃৎ শিল্পালয়ে। মৃৎশিল্পী অনিল চাকড়ার ঠাকুর তৈরির কারখানায় একাধিক লক্ষ্মী ও কালী প্রতিমা তৈরি হচ্ছিল। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে সেখানে ঢুকে দুষ্কৃতীরা নির্বিচারে ভাঙচুর চালায়। সকালবেলা স্থানীয়রা এসে দেখেন মাটিতে ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে প্রায় ৪০টি প্রতিমা। কেউ হাত-পা ভাঙা, কেউ সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া।

মুহূর্তের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে, এবং এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র উত্তেজনা।প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ও শিল্পীরা। তাঁদের অভিযোগ, এই হামলার পেছনে পরিকল্পিত উদ্দেশ্য থাকতে পারে। কারণ, পূজোর আগমুহূর্তে এতগুলো প্রতিমা নষ্ট হওয়া শুধু আর্থিক ক্ষতিই নয়, সাংস্কৃতিক অপমানও বটে।

শনিবার সকালে এই ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা নিমতৌড়ির ডিএম অফিসের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে সামিল হন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। দূরদূরান্ত পর্যন্ত তৈরি হয় যানজট। বিক্ষোভকারীরা দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে এলাকায় টহলদারি জোরদার করা হয়েছে। যদিও এখনও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক রয়ে গেছে। ফের এমন হামলা হতে পারে, এই আশঙ্কায় মৃৎশিল্পীরা নিজেদের তৈরি কারখানাগুলিতে পাহারা দিচ্ছেন ।

তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা আশিস মণ্ডল জানান, “আমরা বার বার দেখেছি সনাতনীদের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে, সমগ্র দেশ জুড়ে এখন এই ঘটনা ঘটে চলেছে। এর আগেও আমরা দেখেছি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে দোল উৎসবের সময় আগুন লাগানো হয়েছিল। আমরা অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। মৃৎশিল্পী অনিল চাকড়ার যে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার ন্যায্য ক্ষতিপূরণ চাই। সেই দাবিতেই আজ আমরা জাতীয় সড়কে অবরোধে সামিল হয়েছি।”

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইত জানান, “দুর্গাপুজোর পর আসন্ন লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মূল জেলাশাসকের অফিসের সামনের ওই এলাকায় প্রায় ৫০ টিরও বেশি প্রতিমা ভেঙে মুণ্ডুচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে এলাকায় বিপক অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে যে আঘাত দেওয়া হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, এই ঘটনার পেছনে যাদের হাত রয়েছে, এটা বাংলাদেশ নয়, এটা ভারতবর্ষ। এই বিষয় সঠিক বিচার প্রশাসনকে করতেই হবে। তারজন্য যে স্তরে যেতে হবে আমরা যাব।”
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের
আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিরোধীদের
বৈধ নাগরিক হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে বীরভূমের ৫ যুবক
স্থানীয়দের আশ্বাস উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর
তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ
সীমান্ত অনুপ্রবেশে বাড়ছে উদ্বেগ
অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ দাবি পরিবারের
বিশালাকার মিছিল নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা
আহত হাতিটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বন দফতরের কর্মীরা
সরকারকে ইমেল করা হলেও জবাব পায়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীর
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের
শাসক দলের কৰ্মসূচিতে যোগদান না করায় মারধরের অভিযোগ
বিশেষ চেকিংয়ের পরেই কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস