নিজস্ব প্রতিনিধি , হগলী - দুর্গাপুজো মানেই শুধু আনন্দ আর উৎসব নয়, সঙ্গে থাকে ইতিহাস আর আবেগের মেলবন্ধন। হুগলির কোন্নগরের ঘোষাল বাড়ির দুর্গাপুজো সেই আবেগকে বহন করছে টানা ৫৭১ বছর ধরে। আর এবারের পুজোয় উঠে আসছে বাংলা ভাষার গুরুত্ব , পাশাপাশি বাইরের রাজ্যে বাঙালিদের উপর চলা অত্যাচারের প্রতিবাদ।

সূত্রের খবর, ১৪৫৪ সালে জমিদারি পেয়েছিল হুগলির ঘোষাল পরিবার। সেই সময় থেকেই বাড়ির ঠাকুরদালানে আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার আরাধনার সূত্রপাত হয়। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও আজও পুরনো রীতিনীতিতেই হয় পূজা। ষষ্ঠীর বোধন থেকে শুরু করে দশমীর বিসর্জন পর্যন্ত সবটাই চলে নিয়ম মেনে। ঘোষাল বাড়ির পুজোয় বাইরের দোকানের মিষ্টি ব্যবহার হয় না বাড়ির মহিলারাই হাতে বানানো নাড়ু তৈরি করেন দেবীর প্রসাদ হিসেবে। অষ্টমীর সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালান বাড়ির পুরুষরা। দশমীতে দেবীকে দেওয়া হয় ইলিশ মাছের বিশেষ ভোগ। আর সিঁদুর খেলায় মাতেন বাড়ির মহিলারা।

আগে দশমীতে মাঝগঙ্গায় নৌকো করে নিয়ে গিয়ে নীলকণ্ঠ পাখি উড়িয়ে প্রতিমা বিসর্জন করা হতো। কিন্তু এক বিসর্জনের রাতে পরিবারের এক সদস্য বাঘের আক্রমণের শিকার হন। সেই ঘটনার পর থেকেই দশমীর সকালবেলায় প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।সংস্কৃতি আর শিল্পের পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও ঘোষাল বাড়ির পুজো সমানভাবে খ্যাত। পুজোর সময় নাটক, যাত্রাপালা আয়োজন হয় দালান জুড়ে। একসময় এখানে গান গেয়েছেন ওস্তাদ বুরদুল খান ও হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মতো শিল্পীরা। এবারও নাট্যমঞ্চে বাংলা ভাষা ও বাঙালিদের ইতিহাস সংগ্রাম উঠে আসছে।

বংশধর প্রবীর ঘোষাল জানালেন, “আমাদের পুজোকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। ইংরেজ আমলে বিলেত থেকে পুজোর জন্য অনুদান আসত। তখন ৭৫০ টাকা এতটাই বড় অঙ্ক ছিল যে পুজো শেষ করেও পুরো টাকা খরচ হতো না। তাই আবার শ্রীরামপুরের খাজাঞ্চি খানায় টাকা ফেরত পাঠাতে হতো। সেই প্রথা আজও চলে আসছে।”
বাড়ির মহিলা সদস্য তনুশ্রী ঘোষাল বলেন, “আমাদের বাড়ির মহিলারা পুজোর প্রতিটি দিন খুব আনন্দের সঙ্গে কাটাই। নাড়ু তৈরি থেকে বিশেষ ভোগ সবই আমরা নিজেরা করি। ইলিশ ভাত খেয়ে সিঁদুর খেলায় মাতি, তারপরই আমাদের ঠাকুরের বিসর্জন হয়।”
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের
আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিরোধীদের
বৈধ নাগরিক হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে বীরভূমের ৫ যুবক
স্থানীয়দের আশ্বাস উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর
তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ
সীমান্ত অনুপ্রবেশে বাড়ছে উদ্বেগ
অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ দাবি পরিবারের
বিশালাকার মিছিল নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা
আহত হাতিটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বন দফতরের কর্মীরা
সরকারকে ইমেল করা হলেও জবাব পায়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীর
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের
শাসক দলের কৰ্মসূচিতে যোগদান না করায় মারধরের অভিযোগ
বিশেষ চেকিংয়ের পরেই কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস