নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর - একদিকে রাজ্যজুড়ে অতিভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। অন্যদিকে জোয়ারের কারণে উত্তাল দিঘার সমুদ্র। উপকূলবর্তী এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে বলা হয়েছে, আর বাসিন্দাদের জরুরি জিনিসপত্র ও কাগজপত্র আগে থেকে গুছিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত।

সূত্রের খবর , মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার জন্য চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও জরুরি কাগজপত্র, মূল্যবান জিনিসপত্র এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য ও জল আগে থেকে প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মোবাইল ফোন, ইমার্জেন্সি লাইট এবং চার্জড ব্যাটারি সবসময় প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, জেলার সমস্ত প্রশাসনিক ইউনিট, পুলিশ ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। রামনগর-১ ব্লকের দিঘা-শঙ্করপুর সৈকতসহ অন্যান্য উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকে সতর্কবার্তা প্রচার করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যটকদের ভরা জোয়ারের সময় সমুদ্রে না নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপের প্রভাব আরও স্পষ্ট হবে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা প্রতিনিয়ত আবহাওয়া ও সমুদ্র পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। স্থানীয় পর্যটক ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সতর্কতার সঙ্গে চললে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি অনেকটা কমানো সম্ভব হবে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। তার জেরে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলা ও দীঘা সহ বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় নিম্নচাপের প্রভাব আরও স্পষ্ট হবে বলে জানানো হয়েছে।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাপতি সুশান্ত কুমার পাত্র জানিয়েছেন, “জেলা প্রশাসনের তরফে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভরা জোয়ারের সময় সমুদ্রে নামা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। পাশাপাশি পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে নিরাপদভাবে থাকার এবং নিজেরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।”

তিনি আরও জানিয়েছেন, “পর্যটকরা যেন আবহাওয়ার আপডেট নিয়মিত অনুসরণ করেন এবং প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলেন। সমুদ্র সৈকতের যে কোন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এড়ানো উচিত। প্রয়োজনে, জরুরি অবস্থায় আমাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে পারবে, যাতে দ্রুত সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়।”
অন্যদিকে, ডিডিএমও মৃত্যুঞ্জয় হালদার জানিয়েছেন, “অযথা আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। প্রয়োজনে জেলার কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করতে পারেন, ফোন নম্বর : ০৩২২৮-২৬২৭২৮।”
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের
আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিরোধীদের
বৈধ নাগরিক হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে বীরভূমের ৫ যুবক
স্থানীয়দের আশ্বাস উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর
তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ
সীমান্ত অনুপ্রবেশে বাড়ছে উদ্বেগ
অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ দাবি পরিবারের
বিশালাকার মিছিল নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা
আহত হাতিটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বন দফতরের কর্মীরা
সরকারকে ইমেল করা হলেও জবাব পায়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীর
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের
শাসক দলের কৰ্মসূচিতে যোগদান না করায় মারধরের অভিযোগ
বিশেষ চেকিংয়ের পরেই কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস