নিজস্ব প্রতিনিধি , পূর্ব মেদিনীপুর - শুক্রবার গোটা দেশজুড়ে পালিত হয়েছে শিক্ষক দিবস। এই বিশেষ দিনে সামনে এল এক মানবিক দৃশ্য , যা পটাশপুরের গর্ব। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন কুমার সাউ শুধুই একজন শিক্ষক নন, তিনি গ্রামের মানুষের কাছে আজ “মানবিক শিক্ষক” নামে পরিচিত। ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে গ্রামের অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য।

স্থানীয় সূত্রের খবর , রতন কুমার সাউয়ের শৈশব কেটেছে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে। আলমচক বেলদা গ্রামের এক কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম। সংসারে অভাব অনটন থাকলেও বাবা কোনোভাবে ছেলেকে পড়াশোনার সুযোগ করে দেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করে বেলদা কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক , পরবর্তীতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পূর্ণ করেন তিনি। এরপর ২০১০ সালে বি.এড ডিগ্রি অর্জন করে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ঝাড়গ্রামের কয়মা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পরে বদলি হয়ে আসেন পটাশপুরের বামন বসান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে , আর সেখান থেকেই সমাজসেবার প্রকৃত যাত্রা শুরু।

শিক্ষক হিসেবে তিনি ছাত্রছাত্রীদের কাছে হয়ে উঠেছেন অভিভাবক। প্রয়োজন পড়লে শিশুদের কোলে তুলে নিয়েছেন , আবার কখনো এক পাতে বসে তাদের সঙ্গে মিড ডে মিল খেয়েছেন। তাঁর কাছে ছাত্ররা শুধু বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় , বরং নিজের সন্তান। তাই প্রয়োজনীয় ব্যাগ , খাতা , বই , ফল সহ পুষ্টিকর খাবারের ব্যবস্থা করেছেন নিজের উদ্যোগে। শুধু তাই নয় , বিদ্যালয়ের বাইরেও এলাকার দরিদ্র মানুষদের জন্য চাল , ডাল , জামাকাপড় বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিজের ১৪ বছরের চাকরিজীবনের সমস্ত সঞ্চয় সমাজসেবার কাজে ব্যয় করেছেন নিঃস্বার্থভাবে।

রতন কুমার সাউয়ের এই মানবিকতার মূল প্রেরণা তাঁর মা। ছোটবেলায় বাবার মৃত্যু হলে সংসারের ভার নেন মা। কখনো অন্যের বাড়িতে কাজ করে , কখনো দিন এনে দিন খেয়ে ছেলেকে মানুষ করেছেন তিনি। সেই সংগ্রামী মায়ের স্মৃতিকে অমর করতে রতনবাবু গড়ে তুলেছেন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা , যার মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তাঁর কথায়,“আমার মা বাবা শিখিয়েছেন অভাব সত্ত্বেও মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। তাই যতদিন বেঁচে আছি , সমাজসেবার পথেই চলব।”

রতন কুমার সাউ জানান,"শিক্ষাকতায় আসার আগেই বাবা মা কে দেখে শিখেছি নানা সমাজসেবামূলক কাজ করতে। ছোটবেলা থেকেই আমি যেভাবে বড় হয়েছি সেটাকেই মন্ত্র করেছি। আমি মাকে দেখেছি কেউ ঘরে এলে কিভাবে তাদের যত্ন করতেন তিনি। আমার মনে হয় কোনো মানুষ দুঃখে আছে আর সেই পরিবারের জন্য যদি আমি কিছু করতে পারি সেটাই আমার কাছে সৌভাগ্যের বিষয়।"
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের
আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিরোধীদের
বৈধ নাগরিক হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে বীরভূমের ৫ যুবক
স্থানীয়দের আশ্বাস উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর
তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ
সীমান্ত অনুপ্রবেশে বাড়ছে উদ্বেগ
অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ দাবি পরিবারের
বিশালাকার মিছিল নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা
আহত হাতিটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বন দফতরের কর্মীরা
সরকারকে ইমেল করা হলেও জবাব পায়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীর
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের
শাসক দলের কৰ্মসূচিতে যোগদান না করায় মারধরের অভিযোগ
বিশেষ চেকিংয়ের পরেই কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস