নিজস্ব প্রতিনিধি , উত্তর ২৪ পরগণা - রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন শাসন পঞ্চায়েত এলাকা। সেই জল সরাতে ও ড্রেনের আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়েই বিপত্তি। কাঁচা কঞ্চি দিয়ে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ করতে গিয়ে আচমকাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু স্থানীয় ভিসিডি কর্মীর। হঠাৎই বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লাগে বলে আশঙ্কা। মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনায় শোকের পরিবেশ নেমে এসেছে এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার শাসন পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা জলমগ্ন। মঙ্গলবার সকালে সেই জল সরানো ও ড্রেনের জমে থাকা আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য কাজে নেমেছিলেন স্থানীয় ভিসিডি কর্মী মিরাজুল আলি (৪৫)।প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, কাঁচা কঞ্চি দিয়ে ড্রেন পরিষ্কারের সময় আচমকাই বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লাগে। আর তাতেই মৃত্যু হয় ওই কর্মীর।
এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের মানুষজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা মিরাজুলকে মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে শাসন পঞ্চায়েতে ভিসিডি কর্মী হিসেবে কাজ করতেন মিরাজুল। তাঁর দৈনন্দিন দায়িত্বের মধ্যে ছিল নালা ড্রেন পরিষ্কার, জঙ্গল পরিস্কার, ডেঙ্গু দমন তেল ছড়ানো ও নোংরা আবর্জনা সরানো। নিয়মিত এইসব বিপজ্জনক কাজে তাঁকে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ছাড়া নামানো হতো বলেই অভিযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জলমগ্ন অবস্থায় ড্রেন পরিষ্কারের কাজ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে কাজের সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, রাবার গ্লাভস ও সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়া, এসব ন্যূনতম নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে কিছুই ছিল না। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের গাফিলতিই এই দুর্ঘটনার মূল কারণ।
ঘটনার পর শাসন পঞ্চায়েত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। প্রতিবেশীরা মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও একজন সদস্যের সরকারি চাকরির দাবি তুলেছেন। তাঁদের অভিযোগ, জল জমা, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার এবং নর্দমার অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি নিয়ে বারবার অভিযোগ করা হলেও পঞ্চায়েত বা বিদ্যুৎ দপ্তরের পক্ষ থেকে কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এদিকে, এই মর্মান্তিক মৃত্যুর পরও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি মেলেনি। প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে ক্ষোভ আরও বেড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তাঁদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে এই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।

এক স্থানীয় বলেন, “বিদ্যুৎ ছিল, জল জমে ছিল। তবু কোনও সতর্কতা ছাড়াই কাজ করানো হয়েছে। এটা নিছক দুর্ঘটনা নয়, অবহেলার ফল।”

মিরাজুল আলির সহকর্মীরা জানান, এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে তাঁরা প্রায়ই সুরক্ষার অভাবে আতঙ্কে কাজ করেন। “আমাদের জন্য কোনও গ্লাভস, বুট বা সেফটি কিট নেই। একদিন না একদিন এরকম কিছু ঘটবেই জানতাম।”
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ অর্জুন সিংয়ের
আরও বড় আন্দোলনের হুমকি বিরোধীদের
বৈধ নাগরিক হয়েও ডিটেনশন ক্যাম্পে বীরভূমের ৫ যুবক
স্থানীয়দের আশ্বাস উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর
তদন্তে নেমেছে অশোকনগর থানার পুলিশ
সীমান্ত অনুপ্রবেশে বাড়ছে উদ্বেগ
অতিরিক্ত কাজের চাপে অসুস্থ দাবি পরিবারের
বিশালাকার মিছিল নিয়ে ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রীর সভা
আহত হাতিটিকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে বন দফতরের কর্মীরা
সরকারকে ইমেল করা হলেও জবাব পায়নি বলে দাবি পরীক্ষার্থীর
ঘটনার তদন্ত শুরু পুলিশের
শাসক দলের কৰ্মসূচিতে যোগদান না করায় মারধরের অভিযোগ
বিশেষ চেকিংয়ের পরেই কেন্দ্রে প্রবেশাধিকার পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস