নিজস্ব প্রতিনিধি , কলকাতা - জীবনের দৌড়ঝাঁপ, প্রতিদিনের প্রতিশ্রুতি, সাফল্যের মোহ, কিংবা সম্পর্কের টানাপোড়েনের আড়ালে আমরা কতবার নিজেদের শেষ পরিণতি নিয়ে ভেবেছি? মৃত্যুর অনিবার্য সত্যকে কতবার সরাসরি সামনে দাঁড়িয়ে দেখার সাহস করেছি? তাই এক অদ্ভুত কিন্তু গভীর এক প্রস্তাব—মাসে অন্তত একবার শ্মশানে যাও।
সঙ্গী হবে না মোবাইল, নয় পরিবার-পরিজনের টানাপোড়েন। থাকবে শুধু নিস্তব্ধতা আর একাকীত্ব। সামনে ভেসে আসবে একেকটি মৃতদেহ ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়া পরিবার। কিছুক্ষণ আগেও নাম ছিল, পরিচয় ছিল, ভালোবাসার বাঁধন ছিল। আজ সে শুধু দেহ। “Some body”এর বেশি কিছু নয়।
জীবনের দীর্ঘ পথচলায় দায়িত্ব ও কর্তব্যের বোঝা বহন করে যে মানুষটি হাঁটছিলেন, আজ তিনি হালকা। নেই কোনো বাঁধন, নেই কোনো প্রতিশ্রুতি। যাঁর হাতে হাত রেখে চলার প্রতিজ্ঞা ছিল, তাঁর হাত আজ ঠান্ডা। ভালোবাসার আবেগ, সোহাগী আলিঙ্গন কিংবা প্রিয় করস্পর্শের উত্তেজনা চিরতরে থেমে গেছে।
শ্মশান এক অনন্য সত্যের শিক্ষা দেয়। লেলিহান আগুনের সামনে দাঁড়ালে বোঝা যায়,সেখানে নেই পাপ-পুণ্যের হিসেব, নেই দোষগুণের বিচার। আগুনের কাছে সবাই সমান। একে একে মুছে যায় সব অহংকার, কর্তৃত্বের আস্ফালন, টাকার দম্ভ, সাফল্যের ঝিলমিল, প্রেমের মাধুর্য কিংবা অশ্রুর দাগ।
শেষে থাকে শুধু নদীর স্রোত, যে ভাসিয়ে নিয়ে যায় দেহাবশেষ। মিলিয়ে যায় সমস্ত পরিচয়, সমস্ত খ্যাতি, সমস্ত অর্জন। আমরা সবাই একদিন সেই একই সমুদ্রের দিকে যাত্রারত যাত্রী।
তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায়,জীবনের এই অনিবার্য সমাপ্তি জেনেও কি আমরা অহংকারে ভেসে বেড়াই? নাকি এই সত্যকে মেনে নিয়ে প্রতিদিনকে একটু ভিন্নভাবে বাঁচতে শিখি?
তাই পরামর্শ একটাই - মাসে অন্তত একবার শ্মশানে যাও। নির্ভয়ে। একাকী। কারণ মৃত্যুকে চিনতে শিখলেই জীবনের প্রকৃত অর্থ বোঝা যায়।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নয়া মোড়
ট্রাম্পের নোবেল হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ
বিক্ষোভ রুখতে নির্মম দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে গাজা
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ প্রশাসনের