নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - প্রাচীন মিশর, যা বিড়ালপ্রেমীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত, সেখানে বিড়ালকে শুধুমাত্র পোষা প্রাণী হিসেবে দেখা হতো না,এটিই ছিল দেবী বাস্তেতের অবতার! আর এই ভক্তিতে এতটাই শ্রদ্ধাশীল ছিল তারা, যে বিড়াল হত্যার প্রমাণ মিললেই দোষীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।
দেবী বাস্তেট এবং বিড়ালের পবিত্রতা
বাস্তেট (Bastet) ছিলেন মিশরীয় দেবী, যিনি গৃহ, উর্বরতা ও সুরক্ষার প্রতীক।প্রাচীন সমাজে বিড়ালকে সেই দেবীর জীবন্ত অবতার হিসেবে ধারণা করা হতো,ফলশ্রুতিতে তারা দৈনন্দিন জীবনে ইঁদুর, সাপ প্রভৃতি র থেকে রক্ষা পেত আর বিশ্বাস করা হতো, বিড়াল দেবীয় শক্তি ধারণ করে ।
কঠোর আইন ও শাস্তি
যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এমনকি দুর্ঘটনাজনিতভাবে,একটি বিড়াল হত্যা করত, তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতো। এ আইন এতই কঠোর ছিল যে, ৫ম খ্রিষ্টপূর্ব শতাব্দীতে এক রোমান এই অপরাধে সম্পৃক্ত হলে সাধারণ মানুষ তাকে গণপ্রহারে হত্যা করে, যদিও ফারাও বা রাজা হস্তক্ষেপ করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি । অন্যান্য আধুনিক উৎস যেমন National Geographic Kids ও HowStuffWorks এও বলা হয়েছে, "cats were so special that those who killed them, even by accident, were sentenced to death".
মৃত বিড়ালের আচরণ
বিড়াল মারা গেলে পুরো পরিবার এলাকাজুড়ে শোক প্রকাশ করত: তারা তাদের ভ্রু মুন্ডিয়ে ফেলত এবং শোক চলতো যতক্ষণ না ভ্রু ঘন হয়ে আসত ।
মমিও ও সমাধি
মৃত বিড়ালের জন্য বিশেষ মমিফিকেশন করা হত, তারপর মর্যাদার সঙ্গে সমাধিস্থ করা হতো। মিশরে Saqqara এবং Bubastis এলাকায় অসংখ্য বিড়ালমমি পাওয়া গেছে যা দেবী বাস্তেতের উপাসনা ও ভক্তিজনিত উৎসর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হত ।
প্রাচীন মিশরের সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিতে বিড়াল ছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ এবং দেবী বাস্তেতের নিখাদ প্রাণসত্তার প্রতীক। তাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা আইন ও সামাজিক আচরণে এতটাই প্রতিষ্ঠিত ছিল যে বিড়াল হত্যা - অবহেলায়ও, সামাজিক ও আইনিভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল না। এরপরেও, আজ সেই প্রেম ও ঈশ্বরবত্বের গল্প ইতিহাসে সুন্দর স্মৃতিচিহ্ন হয়ে রয়ে গেছে।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নয়া মোড়
ট্রাম্পের নোবেল হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ
বিক্ষোভ রুখতে নির্মম দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে গাজা
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ প্রশাসনের