নিজস্ব প্রতিনিধি , জয়সলমের - ভারতের রাজস্থানে জয়সলমের শহরের কাছেই রয়েছে এক অদ্ভুত জনপদ কুলধরা গ্রাম। আজও পর্যটকদের কাছে এটি ভারতের সবচেয়ে ভৌতিক ও রহস্যময় স্থানগুলির মধ্যে একটি। শোনা যায় আজও নাকি রাতে অশরীরীদের পায়ের শব্দ সহ ছায়া মূর্তি দেখা যায় ওই গ্রামে।
গ্রামের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার কাহিনী
ইতিহাস বলছে , প্রায় ২০০ বছর আগে এই গ্রামে পালি সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করত। একসময় এখানে চাষাবাদ , ব্যবসা আর সমৃদ্ধির চিহ্ন ছিল। তবে হঠাৎ এক রাতের মধ্যে গোটা গ্রাম অদৃশ্য হয়ে যায়। সকালে দেখা যায় ঘরবাড়ি ঠিকঠাক আছে , এমনকি খাবার তৈরির পাত্রেও রান্না পড়ে আছে , কিন্তু কোনো মানুষ নেই!
লোককথা অনুযায়ী
লোককথা অনুযায়ী , জয়সলমীরের এক অত্যাচারী দেওয়ান গ্রামের এক সুন্দরী মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চাইছিল। গ্রামের লোকেরা সিদ্ধান্ত নেয় অপমান সহ্য করার চেয়ে গ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়াই শ্রেয়। তারা রাতারাতি সব কিছু ফেলে গ্রাম ত্যাগ করে। এরপর থেকে এই গ্রামকে অভিশপ্ত বলা হয়। বলা হয় , পালি সম্প্রদায় চলে যাওয়ার সময় অভিশাপ দিয়েছিল যে , কেউ আর কখনো কুলধরায় স্থায়ীভাবে থাকতে পারবে না।
আজকের কুলধরা
আজও কুলধরা পরিত্যক্ত। রাজস্থানের সরকার এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে সংরক্ষণ করেছে। অনেক পর্যটক রাতের বেলা এখানে অদ্ভুত শব্দ , পায়ের আওয়াজ বা ছায়া দেখার দাবি করেছেন। অনেক গবেষকও বিশ্বাস করেন , এখানে এক ধরণের অজানা শক্তির উপস্থিতি রয়েছে।
রহস্য না বাস্তব?
কেউ বলেন এটা নিছক সামাজিক কাহিনি , কেউ বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানুষ গ্রাম ছেড়েছিল। কিন্তু স্থানীয়রা এখনো বিশ্বাস করেন কুলধরার বুকে ভৌতিক উপস্থিতি আজও বিরাজমান। ভারতের এই পরিত্যক্ত কুলধরা গ্রাম মনে করিয়ে দেয় ইতিহাস আর রহস্য অনেক সময় একসঙ্গে জড়িয়ে থাকে। যেখানে ভূতুড়ে গল্প আর বাস্তব ইতিহাস আলাদা করা কঠিন।
বিজ্ঞানীদের গবেষণায় উঠে এল অণুজীবের বিস্ময়কর বেঁচে থাকার কৌশল
তারাপীঠের মা তারার জ্যেষ্ঠা মৌলীক্ষা মায়ের অজানা কাহিনী ও রহস্যময়ী মন্দির
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ধোঁয়াশা
জাতিবিদ্বেষী মন্তব্যের পর এবার ভারতকে ‘ভ্যাম্পায়ার’ বলে আক্রমণ পিটার নাভারোর&nb...
ট্রাম্পের ব্যাপরে আয়োজকদের তরফে আগে নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করে বোর্ড
তরুণ প্রজন্মের আগুনে নতজানু হয়েছে ওলি সরকার
হাড়হিম করা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে ভাইরাল