নিজস্ব প্রতিনিধি , হিমাচল প্রদেশ - পৃথিবীর মানচিত্রে এমন কিছু জায়গা আছে যেগুলোর নাম আমরা জানি না বা শুনিওনি কখনো। তেমনি এক গোপন ভূখণ্ডের নাম নীলবর্ণা উপত্যকা। একটি অজানা , বিস্ময়কর এমনকি প্রায় অলৌকিক অঞ্চল। যা হিমালয়ের এক গোপন প্রান্তে লুকিয়ে আছে।
অবস্থান ও আবিষ্কার
নীলবর্ণা উপত্যকার কোনো নির্দিষ্ট মানচিত্র পাওয়া যায় না। স্থানীয় কিছু যাযাবর সহ জনগোষ্ঠীর মুখে মুখে শোনা যায় এর কথা। ২০১৮ সালে এক অভিযাত্রী দল তিব্বতের সীমান্তঘেঁষা এক পাহাড়ি গিরিখাত অতিক্রম করে এই উপত্যকার খোঁজ পায়। তারা বলে , ঘন কুয়াশার মধ্যে হঠাৎ করেই এক সবুজাভ - নীল মাঠের দেখা মেলে , যেখানে সময় যেন থেমে আছে।
প্রকৃতি ও বৈচিত্র্য
নীলবর্ণা নামটি এসেছে এখানকার বাতাস , নদী সহ গাছপালার এক অদ্ভুত নীলাভ আভা থেকে। মনে হয় সূর্যের আলো এখানে অন্যরকম কোনো বর্ণে প্রতিফলিত হয়। গাছে গাছে ঝুলে থাকে নীল ফুল , যেগুলোর ঘ্রাণে ঘুম নেমে আসে চোখে। উপত্যকার ভেতরে প্রবাহিত এক নদী , যার জল স্বচ্ছ হলেও তাতে রাতের তারা প্রতিফলিত হয় , এমনকি দিনের আলোতেও।
স্থানীয় কিংবদন্তি
স্থানীয়দের মতে , এই উপত্যকা এক রহস্যময় ‘নীলপাহাড়িনী’ দেবীর আশীর্বাদে সৃষ্টি। তিনি নাকি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করেন। আর এখানে প্রবেশ করতে পারে কেবল সেইসব মানুষ , যাদের মন নির্মল এবং অহংকারশূন্য।
বিপদ ও সীমাবদ্ধতা
যদিও উপত্যকাটি অত্যন্ত মনোরম ও শান্তিপূর্ণ। তবু এটি প্রবেশের জন্য নিরাপদ নয়। বলা হয় , যারা নিজেদের স্বার্থে এই জায়গায় প্রবেশ করে তারা আর কখনো ফিরে আসেন না। অভিযাত্রী দলের অনেক সদস্য মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে ফিরে আসে। আর কিছুজনের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি এই উপত্যকা বাস্তবে কতটা প্রাকৃতিক। আর কতটা মনস্তাত্ত্বিক অভিজ্ঞতা। তবে এটুকু পরিষ্কার , নীলবর্ণা উপত্যকা আমাদের কাছে একটি প্রতীক - প্রকৃতির গভীর রহস্য , মানুষের সীমাবদ্ধতা সহ আত্মার বিশুদ্ধতার।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নয়া মোড়
ট্রাম্পের নোবেল হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ
বিক্ষোভ রুখতে নির্মম দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে গাজা
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ প্রশাসনের