নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা - ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট,ভারতের ক্যালেন্ডারের এক উজ্জ্বল ভোর, যে ভোরে কোটি কোটি ভারতবাসীর চোখে স্বপ্ন আর গর্বের জল মিশে গিয়েছিল। এই দিন শুধু একটি রাজনৈতিক স্বাধীনতার ঘোষণা নয়, বরং এটি এক দীর্ঘ সংগ্রামের, ত্যাগের, আর অগণিত প্রাণবলির ফসল। মহাত্মা গান্ধীর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন থেকে শুরু করে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সশস্ত্র সংগ্রাম, ভগত সিং, রাজগুরু, সুখদেবের ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে যাওয়া, আর অসংখ্য নাম না জানা বীরের আত্মদান,সব মিলেই রচিত হয়েছে স্বাধীনতার এই গৌরবময় অধ্যায়।
ইতিহাস: রক্ত ও সংগ্রামের পথে স্বাধীনতার যাত্রা
প্রথম বিদ্রোহ (১৮৫৭)
ভারতের স্বাধীনতার পথচলার সূচনা বলা হয় ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহকে। রানি লক্ষ্মীবাই, মঙ্গল পাণ্ডে, বেগম হজরত মহল প্রমুখ যোদ্ধারা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে প্রমাণ করেছিলেন,ভারতের মাটি লড়াই ও ত্যাগের মাটি। যদিও এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়, তবুও তা জাগিয়ে তোলে জাতীয়তাবাদের প্রথম স্ফুলিঙ্গ।
জাতীয় আন্দোলনের উত্থান
১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস হয়ে ওঠে রাজনৈতিক আন্দোলনের প্রধান মঞ্চ। বাল গঙ্গাধর তিলক, লালা লাজপত রায়, বিপিন চন্দ্র পাল,এই ‘লাল, বাল, পাল’ ত্রয়ী জনসাধারণকে আন্দোলনের পথে ডেকে আনেন।
বিপ্লবী যুগ
শতাব্দীর শুরুতে একদল তরুণ বিপ্লবী অস্ত্র হাতে নেন স্বাধীনতার জন্য। ভগত সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, খুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, মাস্টারদা সূর্য সেন প্রমুখ প্রাণ বিসর্জন দেন দেশের জন্য। তাঁদের রক্তে রাঙানো মাটিই পরবর্তীতে জাতীয় চেতনার ভিত্তি গড়ে দেয়।
অহিংস সংগ্রাম
মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে অসহযোগ আন্দোলন (১৯২০), সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলন, লবণ সত্যাগ্রহ (১৯৩০) ও ভারত ছাড়ো আন্দোলন (১৯৪২) জনতার শক্তিকে একত্র করে তোলে। গান্ধীর “সত্য ও অহিংসা” নীতি বিশ্বকে দেখিয়েছিল, শত্রুকে পরাস্ত করতে সবসময় অস্ত্র লাগে না, লাগে অবিচল বিশ্বাস।
নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজ
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু বিশ্বাস করতেন, স্বাধীনতা রক্তের বিনিময়ে অর্জন করতে হয়। তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে ব্রিটিশদের কাঁপিয়ে দিয়েছিল। “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো” - এই আহ্বান আজও প্রতিটি ভারতীয়ের শিরায় রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়।
চূড়ান্ত পরিণতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শক্তি ভেঙে পড়ে। ভারতের জনগণ একত্রিত হয়ে স্বাধীনতার দাবিতে অদম্য হয়ে ওঠে। অবশেষে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট মধ্যরাতে জওহরলাল নেহরু দিল্লির পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তাঁর ঐতিহাসিক বক্তৃতা “Tryst with Destiny” দেন, আর ভারতের স্বাধীনতার পতাকা লালকেল্লার আকাশে উড়তে শুরু করে।
বীর শহিদদের অবদান
ভগত সিং, রাজগুরু, সুখদেব: ফাঁসির মঞ্চে হাসিমুখে স্বাধীনতার গান গেয়েছেন।
চন্দ্রশেখর আজাদ: প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, জীবিত অবস্থায় কখনও ব্রিটিশদের হাতে ধরা পড়বেন না।
ক্ষুদিরাম বসু: মাত্র ১৮ বছর বয়সে ফাঁসির দড়ি চুম্বন করেছিলেন।
মাস্টারদা সূর্য সেন: চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুট অভিযানের নায়ক।
রানি লক্ষ্মীবাই: পুরুষের পোশাকে যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে শহিদ হয়েছিলেন।
এদের মতো হাজারো নাম না জানা বীরের ত্যাগেই এসেছে এই স্বাধীনতা।
১৫ আগস্ট শুধুই স্বাধীনতার উৎসব নয়,এটি দায়িত্বেরও প্রতীক। স্বাধীনতা বজায় রাখা মানে গণতন্ত্র, ন্যায়, সাম্য ও মানবতার মূলনীতিকে রক্ষা করা। যে রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে, সেই রক্তের মর্যাদা রক্ষা করাই আজকের প্রজন্মের কর্তব্য। স্বাধীনতার প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে যদি আমরা দেশকে আরও শক্তিশালী, শিক্ষিত, ও ঐক্যবদ্ধ করে গড়ে তুলি।
হাসপাতালে ভর্তি তরুণী
মৃতদেহের পকেট থেকে উদ্ধার একটি সুইসাইড নোট
২৭ জনের মাথার দাম ছিল মোট ৬৫ লক্ষ টাকা
দেশজুড়ে তল্লাশি অভিযান দিল্লি পুলিশের
শারীরিক ভাবে অসুস্থ লালু
সত্য বলার ‘অপরাধে’ জম্মুতে ‘বুলডোজার’ শাসন
গণবিবাহে সমাগম হওয়ার কথা প্রায় ২৫ হাজার মানুষের
নেকড়ের হামলায় আতঙ্কে স্থানীয়রা
আতঙ্কে ঘরছাড়া স্থানীয়রা
মোদির মুখে রাম মন্দিরের জয়গান
ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা জয়শঙ্করের
অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
সিঁদুরে মেঘ দেখছে দিল্লিবাসী
একাধিক স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা
হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে
হামলার কথা স্বীকার ইজরায়েলের
সতর্কতামূলক পদক্ষেপ এয়ারবাসের
সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল ভিডিও
বিবৃতি জারি ট্রাম্প প্রশাসনের
আপাত বন্ধ স্কুল-অফিস