ক্যাপ্টেন শ্রদ্ধা শিভদাভকার ভারতীয় সশস্ত্র একজন কৃতী অফিসার। তিনি তাঁর নিষ্ঠা এবং সাহসিকতার জন্য পরিচিত। পুরুষ-প্রধান এই পেশায় তিনি বহু বাধা পেরিয়ে প্রথম ভারতীয় নারী হিসেবে সেনাবাহিনীর ‘চিতা’ হেলিকপ্টার চালানোর গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি অফিসার এন্ট্রি স্কিমের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন, যেখানে কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তিনি এক দৃঢ় ও যোগ্য নেত্রী হয়ে ওঠেন।
তাঁর জীবনের পথ সহজ ছিল না। তিনি অনেক ব্যক্তিগত ও পেশাগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, কিন্তু সব কিছু তিনি পার করেছেন সাহস , ধৈর্য ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে। তিনি দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনাল জায়গায় কাজ করেছেন এবং জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি শুধুমাত্র দক্ষ সৈনিকই নন, বরং সশস্ত্র বাহিনীতে নারী-পুরুষ সমতার জন্য একজন মুখপাত্রও।
২০২৩ সালে তিনি তাঁর ফ্লাইং উইংস ( flying wings) অর্জন করেন এবং সেনাবাহিনীর এলিট চিতা (Cheetah)হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রনে যুক্ত হন — যেটি কোনও ভারতীয় নারী হিসেবে তিনিই প্রথম। তিনি ইতিমধ্যেই ১৬৫ ঘণ্টার বেশি ফ্লাইট সম্পন্ন করেছেন এবং সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মিশনে অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ধ্রুবা কমান্ডের অধীনে আর্মি কমান্ডারের সঙ্গে ফ্লাইটও রয়েছে।
তিনি বর্তমানে জম্মু ও কাশ্মীরের উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে পোস্টেড আছেন, যেখানে ১২,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতায় কঠিন পরিবেশে দায়িত্ব পালন করছেন। সেখানে তিনি আহত সৈনিকদের উদ্ধার, জরুরি রসদ সরবরাহ, এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন।
শ্রদ্ধা শিভদাভকার তাঁদের পরিবারের প্রথম ব্যক্তি যিনি সশস্ত্র বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর এই পথচলা আমাদের শেখায় কীভাবে দৃঢ় মনোবল, কঠোর পরিশ্রম ও দেশের প্রতি ভালোবাসা একজন মানুষকে অসাধারণ করে তোলে। তিনি আজকের প্রজন্মের নারীদের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধে নয়া মোড়
ট্রাম্পের নোবেল হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতে প্রলেপ
বিক্ষোভ রুখতে নির্মম দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে শাহবাজ শরিফের প্রশাসন
স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে চলেছে গাজা
হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ প্রশাসনের