মেজর ডঃ দীপান্বিতা কলিতার যাত্রা অসমের প্রথম মহিলা প্যারাট্রুপার হিসেবে একটি সাহসিকতা এবং বাধা ভাঙার শক্তিশালী কাহিনী। ছোট্ট শহর ধেকিয়াজুলিতে জন্মগ্রহণ করা দীপান্বিতা একটি সহানুভূতিশীল পরিবারের মধ্যে বেড়ে উঠেছিলেন, যেখানে শিক্ষার গুরুত্ব এবং অধ্যবসায়ের মূল্য ছিল। ছোটবেলা থেকেই দীপান্বিতা যে চঞ্চলতা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রদর্শন করেছিলেন তা তার ভবিষ্যতের পথকে উন্মুক্ত করেছিল। তার মায়ের, পর্বতী কলিতার এবং পরিবারের উৎসাহে দীপান্বিতা কখনোই তার সীমিত পরিবেশের মধ্যেই স্বপ্ন দেখতে থামেননি।
শিক্ষায় দীপান্বিতা ছিল অসামান্য, এবং এটি তার নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ ঘটিয়েছিল। দেবেন্দ্র গ্রিন গ্রোভ ইংলিশ স্কুলে পড়াশোনা করার পর তিনি ডরাং কলেজে সম্মানজনক ফলাফলে স্নাতক হন। চিকিৎসাশাস্ত্রে আগ্রহী দীপান্বিতা ম্যানিলায় এমবিবিএস পড়ার জন্য প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে যাওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত নেন, যা সোনিতপুরের প্রথম মেয়েকে বিদেশে পড়াশোনা করার সুযোগ এনে দেয়। এটি তার স্বাচ্ছন্দ্যের বাইরে গিয়ে চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতা এবং দৃঢ়তা ছিল, যা ভবিষ্যতে তার ক্যারিয়ারকে সংজ্ঞায়িত করেছিল।
২০২০ সালে, দীপান্বিতা কলিতা ভারতীয় সেনায় চিকিৎসক হিসেবে কমিশন পান এবং এটি ছিল তার অসামান্য যাত্রার সূচনা। তবে তার সীমা ছাড়ানোর প্রবণতা তাকে সেনার প্যারাট্রুপার প্রশিক্ষণ নিতে উত্সাহিত করেছিল। ২০২৩ সালে, তিনি অসমের প্রথম মহিলা হিসেবে প্যারাট্রুপার ব্যাজ অর্জন করেন এবং প্যারাশুট মেডিক্যাল রেজিমেন্টের সদস্য হন। এটি শুধু তার ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, বরং নারীদের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীতে নতুন পথপ্রদর্শক একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বর্তমানে, তিনি যেসব চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে কাজ করছেন, সেখানেও তার চিকিৎসা দক্ষতা এবং শারীরিক শক্তি অসামান্য ভূমিকা রাখছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য এক যুগান্তকারী সাফল্যে
সায়েশা উত্তমচন্দানি তার শিল্পকলা শুরু করেছিলেন এবং কবিতা সবসময় এমন বিষয় নিয়ে ছিল যে বিষয় নিয়ে মানুষ কথা বলা এড়িয়ে যায়।
পরিশ্রম, শৃঙ্খলা ও নিষ্ঠা থাকলে জীবনে যেকোনো কিছু অর্জন করা সম্ভব।
ল্যান্স নাইক মঞ্জু, এক সাহসী ও দৃঢ়চেতা সৈনিক
ব্যবসায়ী থেকে সমাজসেবক, অকালেই থেমে গেল সঞ্জয় রায়ের জীবনগাথা
ইজরায়েলকে শিক্ষা দিতে কি পদক্ষেপ বেলজিয়ামের?
বন্যাদুর্গত মানুষকে বৃষ্টির জল বালতিতে করে ভরে রাখার পরামর্শ পাক প্রতিরক্ষামন্ত্...
উত্তর কোরিয়ার প্রধান ‘পৃষ্ঠপোষক’ চীন
দিনে দিনে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে আমেরিকার আইনশৃঙ্খলা