ব্যর্থ ওকসের লড়াই, সিরাজ-কৃষ্ণার ম্যাচ উইনিং স্পেলে অনবদ্য কামব্যাক, ওভাল জয় ভারতের

নিজস্ব প্রতিনিধি, ওভাল - সিরাজের মাটি কোপানো ইয়র্কার। ঠিক তার আগেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার দুরন্ত ইয়র্কার। দুই ইয়র্কারেই ছারখার ব্রিটিশ শিবির। চতুর্থ দিনে খেলা বন্ধ হওয়া শেষ অবধি ভাল ফল এনে দিল ভারতকে। ৬ উইকেটে ওভালের পঞ্চম দিনে জয় পেলেন শুভমন গিলরা। অভিষেক অধিনায়কের অধীনে শেষ অবধি সম্মানজনক অবস্থায় সিরিজ বাঁচাল ভারত। 

জো রুট ও হ্যারি ব্রুকের অংশীদারিত্ব ভাঙার পরেই কার্যত ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। রুটকে আউট করেন কৃষ্ণা। অন্যদিকে ব্রিককে সাজঘরে ফেরান আকাশদ্বীপ। এরপরেই রানের গতি কমতে থাকে। একদিকে যখন রানের গতি কমছে অন্যদিকে তখন মাথার ওপর খাঁড়া ঝুলছিল মন্দ আলো। ফের কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে এল বৃষ্টি। শেষঅবধি বাধ্যতামূলক খেলা বন্ধ করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা। 

পঞ্চম দিনের শুরুতে ভারতের দরকার ছিল ৪ উইকেট। জিততে ইংল্যান্ডের বাকি ছিল মাত্র ৩৫ রান। পিচে ছিলেন জেমি স্মিথের মত যোগ্য ব্যাটার ও জেমি ওভার্টন। স্মিথ ও ওভার্টনকে খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরে ফেরান মহম্মদ সিরাজ। এরপর পিচে লড়তে থাকেন গাস আটকিনসন। তার সঙ্গে থাকা জশ টাঙ্গকে ইয়র্কারের মাধ্যমে সাজঘরে ফেরান প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। 

এরপর লড়াই চালান আটকিনসন। ভাঙ্গা কাঁধ নিয়েই একহাতে ব্যাট নিয়ে সিরিজ জয়ের উদ্দেশ্যে মাঠে নামেন ক্রিস ওকস। অনবদ্য লড়াই চালান। বেশ কিছুক্ষণ একপাশে দাঁড়িয়ে খালি আটকিনসন কে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ব্রিটিশ পেসার। যন্ত্রণা নিয়েই তার কাজ তিনি করছিলেন। দেশকে ভালোবেসে সব যন্ত্রণা ভুলেই লড়াই করছিলেন তিনি। ঠিক এমন সময় আটকিনসনের একটি শট বাউন্ডারি লাইনে মিস করে ছয় করে দেন আকাশদ্বীপ। এরপরই বিরাট সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। তবে হাল ছাড়েননি বোলাররা। নিজেদের কাজ ঠিক মত করেই অবশেষে সাফল্যের সিঁড়ি চড়েছেন সিরাজ। 

দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯ উইকেট পকেটে ভরেছেন মিয়া ভাই। অন্যদিকে ৮ উইকেট নিয়েছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। বুমরার অনুপস্থিতিতে নিজেদের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় বোলাররা। অন্যদিকে ওকসের লড়াইয়ের প্রশংসা করেছেন  ব্রিটিশ সহ ভারতীয় সমর্থকরা। শুভমন গিলের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সিরিজেই সম্মানজনক জায়গায় শেষ করল ভারত। ২-২ ব্যাবধানে সিরিজ ড্র করেছে ভারত-ইংল্যান্ড।