তরুণদের প্রাধান্য, বিরাট রোহিতের ক্রিকেট ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনায় বিসিসিআই
নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই - দু'জনেই টেস্ট ও টি টোয়েন্টি ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। লক্ষ্য শুধু ২০২৭ বিশ্বকাপ। ওই ট্রফি ঝুলিতে ভরলেই হয়তো সব স্বাদ পূরণ হবে। তবে শুরু থেকেই শুভমন গিলকে নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। এখন থেকেই জোরকদমে পরিকল্পনা করতে ইচ্ছুক বিসিসিআই কর্তারা। তাই রোহিত বিরাটের সঙ্গে আলাদা করে বসতে চাইছে বিসিসিআই।
২০২৪ বিশ্বকাপ জেতার পরেই একসঙ্গে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অবসর নেন বিরাট রোহিত। গত আইপিএলের সময় টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন কোহলি এবং রোহিত। তাদের লক্ষ্য এখন শুধুই একদিনের বিশ্বকাপ। যার নেতৃত্বে রয়েছেন রোহিত শর্মা। ২০২৭ সালে দেশকে একদিনের বিশ্বকাপ জেতানোর লক্ষ্যেই রয়েছেন তিনি।
২০২৭ সালে বিরাটের বয়স গিয়ে দাঁড়াবে ৩৮ ও রোহিতের ৪০। ক্রিকেটীয় দিক থেকে বিচার করলে হয়তো ফিটনেসে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রোহিত শর্মা। তবে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সময় কখনোই মনে হয় না যে তার ফিটনেসে কোনো সমস্যা রয়েছে। তবুও দেশের আগে কোনো খেলোয়াড় নয়। এমনই নিদর্শন পাওয়া গিয়েছে অতীতেও। হয়তো সেইদিক ভেবেই আলোচনায় বসতে চাইছে বোর্ড।
কোহলির ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও রোহিতের রয়েছে। সবথেকে বড় ব্যাপার সেই ধারাবাহিকতা এখন আর নেই দুই তারকার। তবে অনেকেই মনে করছেন, এটা নেহাতই ছন্দপতন। কারণ ক্রিকেটপ্রেমীদের বিশ্বাস বয়স যাই হোক না কেন বিরাট রোহিতের কোনো তুলনাই হয় না বা তাদের পরিবর্ত নেই। হয়ত সত্যিই নেই, বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। এবার কোন সিদ্ধান্তে আসবে তারা, কি নিয়েই না এই মিটিং সেই নিয়ে এখনও কিছুই নিশ্চিত হয়নি।
শুভমন গিল নতুন অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের সিরিজে দায়িত্ব পালন করেছেন। যদিও তার প্রথম সিরিজ। পরে গিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার থেকে হয়ত এখন থেকেই একটা নিশ্চিত লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চাইছে বিসিসিআই। হয়ত শুভমনের হাতেই অধিনায়কত্ব তুলে দিয়ে এখন থেকেই তরুণ দলকে মজবুত করার কথা ভাবছে বোর্ড। যাতে পরে আচমকা গিয়ে কোনো পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়। রোহিত খেললেও অধিনায়কত্ব থাকতে নাও পারে। আবার রোহিতের কথা ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে কিছু বদল নাও হতে পারে। সবটাই এখন সময়ের অপেক্ষা। তবে ২০২৭ বিশ্বকাপে বিরাট রোহিতকে নিশ্চিতভাবে একসঙ্গে দেখতে চাইবে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব।
বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, "বিশ্বকাপের এখনও দু’বছর বাকি। ২০২৭ সালের নভেম্বরে হবে বিশ্বকাপ। কোহলি এবং রোহিত দু’জনের বয়সই তখন ৪০এর কাছে পৌঁছে যাবে। তাই আমরা এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে চাই। ২০১১ সালের পর আমরা আর এক দিনের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জিততে পারিনি। তরুণ ক্রিকেটারদের প্রাধান্য দেওয়ার কথা ভাবছি আমরা।"