“সাজা প্রাপ্ত আসামি ইউনুস”! কড়া ভাষায় আক্রমণ হাসিনার
নিজস্ব প্রতিনিধি, দিল্লি - গত বছর আগস্টে গদিচ্যুত হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মীদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে। এই আবহে বাংলা নববর্ষের ঠিক আগে এক অডিও বার্তা দিয়ে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাসিনা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “আমি আরেকটা খবর দিতে চাই। শ্রমিকদের করা মামলায় শ্রমিক আদালতে ইউনুস কিন্তু সাজা প্রাপ্ত আসামি। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, হিন্দুদের ওপর যেমন অত্যাচার হয়েছে, তেমনই খ্রিস্টান, বৌদ্ধদের ওপর হয়েছে। তাঁর ক্ষমতার দর্পে গোটা দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছে। মানবতাবিরোধী কাজ ইউনুস করে যাচ্ছে। আসামি, দোষী, জঙ্গি সন্ত্রাসীদের নিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। চরম দুর্নীতি করে গ্রামী ফোন, গ্রামীণ ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে। আজ বিদেশে শত শত কোটি টাকার সম্পত্তি। কোথা থেকে আসল? কার টাকা? মানুষের টাকা।“
তিনি আরও বলেন, “কারাগার ভর্তি আজ আওয়ামি লিগের নেতা, কর্মীরা রয়েছেন। পালাবার পথ পাবে না, এত অবিচার, এত অন্যায়, ক্ষমতায় বসে মজা করে খাবে, সে খাবার ক্ষমতা থাকবে না, এত মানুষের চোখের জল এত মানুষের অভিশাপ এর যে কপালে কী দুর্ভোগ আছে। আমি বিশ্বাস করি, আগুন নিয়ে খেলছে তো এই আগুনে তারাও একদিন জ্বলেপুড়ে ছারখার হবে। চক্রান্তটা শুরু হয়েছিল ২০২২ সাল থেকে, কিছুতেই আমাকে ক্ষমতায় থাকতে দেবে না। পাকিস্তান আর্মি গুলি করে হত্যা করত, এরা পিটিয়ে মারধর করে। বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামি হত্যা এবং হয়রানি চালাচ্ছে।“
হাসিনার প্রশ্ন, “রাষ্ট্রটা কার? আমি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি, সংসদে আমি সমর্থন পেয়ে সরকার গঠন করেছি। সংবিধান মোতাবেক আমার প্রধানমন্ত্রিত্ব বৈধ ও সাংবিধানিক। ইউনুস, পরিকল্পনা করে, সন্ত্রাস করে ক্ষমতা দখল করেছে, তাঁর কোনও জনমত নেই। সাংবিধানিক ভিত্তি নেই, সে দেয় আমার বিরুদ্ধে মামলা! যে নিজে রাষ্ট্রদ্রোহীর কাজ করেছে।“ সম্প্রতি বাংলাদেশ সকারের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। এখানেই শেষ নয়, গুম-খুনের মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা।