ট্রেনের কামরায় তরুণীকে গণধর্ষণ , হরিয়ানার ঘটনায় আতঙ্কিত যাত্রীরা
নিজস্ব প্রতিনিধি, হরিয়ানা - বাচ্চা থেকে বয়ষ্কা দেশের প্রতি জায়গায় কোথাও না কোথাও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আর এবার সামনে এলো পানিপথের এক ভয়াবহ ও লজ্জাজনক ঘটনা। ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলাকে একটি খালি ট্রেনের কোচে চারজন মিলে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।
সূত্রের খবর, হরিয়ানাতে ৩৫ বছর বয়সী মহিলার সঙ্গে ঘটে গেল এক লজ্জাজনক ঘটনা। অভিযোগকারিণীর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, গত ২৪ জুন সে তার স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। একমাস আগে তার বছর তিনের ছেলের মৃত্যুতে সে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ফলে তার স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে রাজি না হওয়ায় স্বামী তাকে হুমকি দেয়, বলেন, “আমার সঙ্গে না হলে বাইরের লোক ধর্ষণ করবে।”এই ভয় ও মানসিক অবস্থায় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে তিনি রাতের অন্ধকারে বাড়ি ছাড়েন।
পানিপথ রেলস্টেশনের পথে এক অচেনা যুবক তাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে একটি পার্ক করা ট্রেনের কামরার দিকে নিয়ে যায়। প্রথমে ওই মহিলা ইতস্তত বোধ করলেও সেই যুবক তাকে আশ্বাস দেন ট্রেনের কামরার ভিতরে সেই যুবকের ট্রলি রয়েছে। কামরার ভিতরে গিয়ে ওই মহিলাকে যুবকটি ধর্ষণের চেষ্টা করে। সেখান থেকে মহিলাটি পালানোর চেষ্টা করলে হঠাৎই আরও ৩ জন এসে তার পথ আটকায়।
চারজন মিলে পালা করে মহিলাকে ধর্ষণ করে। তারা চলে যাওয়ার পর, রক্তাক্ত ও হতভম্ব অবস্থায় মহিলাটি সোনিপতের দিকে রেললাইনের ধারে হেঁটে যান। দিশেহারা অবস্থায় একটি রাসায়নিক পুকুরে পা রেখে বসে ছিলেন তিনি। কিন্তু আচমকাই সেই সময় একটি ট্রেন এসে তার একটি পা কেটে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সেখানেই এসেছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।
পানিপথ রেলওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই ঘটনায় অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও গুরুতর আঘাতের মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশপাশি, নির্যাতিতা মহিলার স্বামীর বিরুদ্ধেও দীর্ঘমেয়াদি পারিবারিক ও যৌন নিগ্রহের অভিযোগও দায়ের হয়েছে। দোষীদের সন্ধানে ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।