সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে বদল জাতীয় ক্রীড়ানীতি, সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
নিজস্ব প্রতিনিধি, গুজরাট - প্রকাশিত হল নতুন জাতীয় ক্রীড়ানীতি। ২০০১ সালের পুরোনো নীতি বাতিল করে বেশ কিছু নতুন লক্ষ্য বাস্তবায়িত করার কথা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ক্রীড়াক্ষেত্রে ভারতের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রেই নতুন ক্রীড়ানীতি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। মঙ্গলবার এই পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।
নতুন জাতীয় ক্রীড়ানীতি অনুযায়ী মোট ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক বিষয়গুলি:
১. ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর অবধি উন্নত কর্মসূচি গ্রহণ। গ্রাম ও শহরের ক্রীড়া পরিকাঠামোর উন্নয়ন। প্রতিভাবানদের তুলে এনে সঠিক প্রশিক্ষণ দেওয়া। কোচ এবং খেলোয়াড়দের জন্য বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা। খেলোয়াড়দের চোট আঘাত কমাতে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার।
২. খেলাধূলার মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নতির কথাও রয়েছে নতুন জাতীয় ক্রীড়ানীতিতে। ক্রীড়াক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন উদ্যোগকারীদের সরকারি ও বেসরকারি সাহায্য করা।বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বিনিয়োগে সাহায্য। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিযোগিতা আয়োজন। এছাড়াও ক্রীড়া পর্যটনেও সাহায্যের বিষয়ে নজর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
৩. প্রবাসী ভারতীয়দের যুক্ত করে দেশের বহু ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলি পুনরুজ্জীবিত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও খেলাধুলোর মাধ্যমেই বিকল্প কাজের সুযোগ তৈরি করতে হবে। মহিলা থেকে শুরু করে বিশেষভাবে সক্ষম ও অর্থনৈতিক দিক থেকে দুর্বলদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে তাদের জন্য।
৪. দেশজুড়ে খেলাধূলার প্রচার করতে হবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতার কথা দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে দিয়ে হবে। ফিটনেস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে কর্মস্থলেও সঠিক ক্রীড়া পরিকাঠামো পৌঁছে দিতে হবে।
৫. খেলাধুলাকে শিক্ষার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বিদ্যালয়ের পাঠক্রমে খেলাধূলার অন্তর্ভুক্তি দরকার। সঠিক শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
৬. দেশব্যাপী শক্তিশালী ক্রীড়া প্রশাসন গড়ে তোলা থেকে শুরু করে বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।