নোটসের প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার অভিযুক্ত দুই শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিনিধি , কর্ণাটক - ওড়িশার কলেজে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এল। বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি কলেজে নোটস দেওয়ার নাম করে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত নরেন্দ্র পদার্থবিদ্যার শিক্ষক এবং সন্দীপ জীববিদ্যার শিক্ষক, দু'জনেই ওই একই কলেজে কর্মরত। তৃতীয় অভিযুক্ত অনুপ ওই কলেজেরই শিক্ষাকর্মী। নরেন্দ্র নোটস দেওয়ার নাম করে ওই ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিলেন এবং ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। অভিযোগ, একদিন অনুপের ঘরে নিয়ে গিয়ে নরেন্দ্র ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং ঘটনাটি কাউকে জানালে বড় ক্ষতির হুমকি দেন।
শুধু তাই নয়, কয়েকদিন পর সন্দীপও অনুপের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ছাত্রী বাধা দিলে তাকে নরেন্দ্রর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার ছবি ও ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর অনুপও ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করে এবং দাবি করে যে তার বাড়িতে ঢোকার সিসিটিভি ফুটেজ তাদের কাছে আছে। প্রায় ১ মাস ধরে এই ঘটনাটি চলতে থাকে।
সম্প্রতি এই ঘটনাটি তরুণী তার পরিবারের কাছে জানায়। পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৫ জুলাই মারাঠাহল্লি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পাশাপশি, নির্যাতিতার পরিবার রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থও হয়। অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক এবং কলেজের ওই কর্মীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে এই ধরণের নক্কারজনক ঘটনা বারবার সমাজের অন্ধকার দিকটাই তুলে ধরছে। শুধু তাই নয় , শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই ঘটনা নারীদের সুরক্ষা নিয়েও বারবার প্রশ্ন তুলছে।