'বাংলা আর হিন্দিভাষীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন', মমতাকে আক্রমণ শমীকের
নিজস্ব প্রতিনিধি , শিলিগুড়ি - ওড়িশা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গুজরাত সহ একাধিক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলায় কথা বলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশী তকমা। তার বিরুদ্ধে আজকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচী দোষর ২৬ শের বিধানসভা ভোট। ভুয়ো ভোটার, উত্তরবঙ্গের বঞ্চনা সহ একাধিক ইস্যুতে বঙ্গের নতুন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানা।
এদিন শিলিগুড়ি থেকে সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "২০১৯ এ মানুষের মধ্যে একটি বাইনারি সৃষ্টি হয়েছিল যে তৃণমূলকে হারাতে একমাত্র বিজেপি পারবে। এই বাইনারি এখনো পর্যন্ত ভাঙেনি। ফলে সকলে 'নো ভোট টু টিএমসি' করুন তারপর রং বাছবেন।
রাজ্যের বাইরে বাংলায় কথা বললে বাঙালিদের আটক করা হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, "সারা ভারতবর্ষ সারা ভারতবর্ষের বাঙালিদের ফোন করুন মিথ্যাচার করছে টিএমসি। উত্তর ২৪ পরগণার, মুর্শিদাবাদের মুসলিমরা বারংবার বলছে বাংলাদেশ থেকে আসা মানুষদের জাল পাসপোর্ট ও জাল আধার কার্ড করা বন্ধ করুন। নইলে আমাদের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হচ্ছে।"
পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা বলেন, "৩০ লক্ষ্যেরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে গমন করেছে বাংলায় কাজের অবস্থা খুব খারাপ। চা বাগানের শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় অনুদান ছাড়া টাকা দেওয়া যাচ্ছে না।
বিজেপি মুসলমান বিদ্বেষী এই অভিযোগ তুলে একাধিকবার বিজেপিকে নিশানা করেছেন তৃণমূলে নেতা কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, "তৃণমূলের বিধায়ক প্রকাশ্যে বলেন ১০০ টি বিধানসভার আসন মুসলমানদের জন্য রিজার্ভ করতে হবে। হিন্দি ও বাংলা ভাষীদের মধ্যে তৃণমূল বিভাজন সৃষ্টি করেছে একাধিকবার।"
২৬ শের নির্বাচনের প্রস্তুতি গেরুয়া শিবিরে তুঙ্গে। এদিন শমীক ভট্টাচার্য বলেন, "বিজেপিকে আটকানোর জন্য গুজরাত ও বিহার থেকে লোক আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ থেকে ভুয়ো ভোটার আমদানি করতে হয়। প্রায় ১৭ লক্ষ নাম ভুয়ো ভোটার তালিকায় জমা পড়েছে। নির্বাচন কমিশন বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেরও কঠোরতার সঙ্গে ভুয়ো ভোটার বের করবেন।"