যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে আত্মহুতি , বালাসোরের ছাত্রীর মৃত্যুকে " সমাজের ক্ষত " বললেন রাহুল
নিজস্ব প্রতিনিধি , নয়াদিল্লি - ওড়িশার কলেজে ছাত্রীর যৌন হেনস্থার প্রতিবাদে আত্মহুতির ঘটনায় দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবার সঙ্গে সরাসরি কথা বললেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। আশ্বাস দিলেন, মেয়েটির পরিবারের পাশে আছেন তিনি ও কংগ্রেস দল।
সূত্রের খবর , ফকির মোহন স্বায়ত্তশাসিত কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন। অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়নি। অভিযোগ আছে, মেয়েটিকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল যে অভিযোগ তুললে পরীক্ষায় ফেলিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পরেও ওই তরুণী কোনো বিচার পায়নি বলে অভিযোগ। ১২ জুলাই কলেজ গেটের সামনেই নিজেকে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন ওই ছাত্রী। ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি হন ভুবনেশ্বরের এইমসে। ১৪ জুলাই রাত ১১:৪৬-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। নারী সংগঠন, শিক্ষার্থী, এবং রাজনৈতিক দলগুলি রাজ্যের বিজেপি সরকার ও কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নেমেছে। রাহুল গান্ধী ঘটনায় প্রতিক্রিয়ায় তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন , "ওড়িশার বালাসোরে ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করে প্রাণ হারানো সাহসী কন্যার বাবার সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁর কণ্ঠে আমি তাঁর যন্ত্রণা, স্বপ্ন ও সংগ্রাম অনুভব করতে পেরেছি। কংগ্রেস তাঁর পাশে আছে। এই ঘটনা শুধু অমানবিক নয়, সমগ্র সমাজের উপর এক গভীর ক্ষত।" পাশাপাশি , তিনি প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন, কংগ্রেস দল ন্যায়বিচারের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।
এই ঘটনার জেরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এবং উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাঁরা দাবি করেছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি আগে থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা নিত, তাহলে এই ভয়াবহ ঘটনা এড়ানো যেত। রাজ্যের নানা প্রান্তে ছাত্রী, মহিলা সংগঠন ও নাগরিক সমাজ বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। দ্রুত বিচার এবং অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন সকলে।