মেন্ডিসের শতরান, ফের ব্যাটিং ভরাডুবির জেরে সিরিজ হাতছাড়া বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিনিধি, বালাগোল্লা - প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা। দ্বিতীয় ম্যাচে তানভীর ইসলামের দাপটে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচেও শ্রীলংকার কাছে মাথানত করল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় তারা। ৯৯ রানে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। 

বাংলদেশের চলতি প্রদর্শনের ওপর ভিত্তি করে ও দ্বিতীয় ম্যাচের ব্যর্থতার কথা ভেবেই এদিন টসে জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলংকা। ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৫ রান তোলে তারা। শতরান করেছেন দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার কুশল মেন্ডিস। ১২৪ রান করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ভাল শুরু করেন পাথুম নিঃশঙ্কা। তবে ৩৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন। এছাড়াও অর্ধশতরান করেন চারিত আসালংকা। ৫৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে ভরসাযোগ্য জায়গায় নিয়ে যান তিনি। শেষে মূল্যবান ১৮ করেছেন হাসারাঙ্গা। 

বাংলাদেশের হয়ে ২টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়াও একটি করে উইকেট পান তানজিম হাসান শাকিব, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন। আসালংকার রূপে মূল্যবান উইকেটটি নেন তাসকিন। নাহলে ৩০০ পেরিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ ছিল শ্রীলংকার। মেন্ডিসের উইকেট নেন শামীম। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফের তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল বাংলাদেশ। ইমন ভাল শুরু করলেও ২৮ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। আর এক ওপেনার তানজিদ হাসান করেন মাত্র ১৭ রান। শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। কাঁধে গুরুদায়িত্ব তুলে নেওয়ার বদলে ফের সবাইকে হতাশ করেছেন শান্ত। খাতা না খুলেই দুস্মন্ত চামিরার শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। এরপর অর্ধ শতরান করেন তোহিদ হৃদয়। তবে অর্ধ শতরান পার করার পরেই ৫১ রানে তাকে থামিয়ে দেন চামিরা। 

এরপর মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ২৮ রান। অধিনয়াক আউট হওয়ার পর জাকের আলী করেন ২৭ রান। শেষের দিকের ব্যাটারদের খুবই কম সময়ের মধ্যে তুলে নেয় শ্রীলংকান বোলারেরা। দলের জয়ে তিনটি মূল্যবান উইকেট নেন চামিরা। শেষে তানজিম হাসান সাকিবের উইকেট পান তিনি। এছাড়াও তিনটি উইকেট নিয়েছেন আসিথা ফার্নান্দো। তার তিনটি উইকেটের মধ্যে অন্যতম দুটি তানজিদ হাসান ও জাকের আলী। এছাড়াও ২টি করে উইকেট নেন ওয়ালালেগে ও হাসারাঙ্গা।