গোপালগঞ্জ হিংসায় উত্তপ্ত বাংলাদেশ, প্রতিরোধের ডাক শেখ হাসিনার
নিজস্ব প্রতিনিধি , ঢাকা - গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। প্রাণহানি ও অগ্নিসংযোগের মাঝেই দেশের মানুষকে অডিওবার্তা পাঠিয়ে প্রতিবাদের পথে নামার আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে। সদ্যপ্রতিষ্ঠিত দল এনসিপি আয়োজিত জুলাই পদযাত্রা ঘিরে বুধবার দিনভর উত্তাল হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলা। বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। এখনও পর্যন্ত এই সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে প্রশাসন। প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন, যার মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ সবাই রয়েছেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আর এই বিপজ্জনক পরিস্থিতির মাঝেই দেশের উদ্দেশ্যে অডিও বার্তা দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, "ঘরে বসে থাকলে চলবে না। যা আছে, তা নিয়েই পথে নামুন। এখনই সময় প্রতিরোধ গড়ে তোলার। এই বক্তব্যে সরাসরি জনগণকে প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার তদন্তের জন্য ইউনুস সরকারের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, এবং সদস্য হিসেবে রয়েছেন জনপ্রশাসন ও আইন মন্ত্রকের অতিরিক্ত দুই সচিব। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউনুস সরকার।
উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে গোপালগঞ্জে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্ফু জারি করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আমজনতা ও আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।