আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় জ্বালানি সুইচ বন্ধ , তদন্তে পাইলটের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি , গুজরাত - আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭–৮ বিমানের দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। প্রাথমিকভাবে জ্বালানি সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়াকে কারণ বলে মনে করলেও, এখন তদন্তে উঠে আসছে পাইলটের ভূমিকা নিয়েও তীব্র বিতর্ক। 

সূত্রের খবর , আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনার তদন্তের দায়ভার মার্কিন সংস্থার ওপর দায়ভার যায়।  প্রাথমিভাবে তাদের প্রকাশ করা রিপোর্টে দেখা যায় জ্বালানি সুইচ বন্ধ থাকার কারণে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।  কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্টে উঠে আসছে পাইলটের গাফিলতির দিক। কিন্তু AAIB তাদের রিপোর্টে পাইলটের ভূমিকা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি।  ভারতের এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিমানটি যখন রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের জন্য গতি পাচ্ছিল, ঠিক তখন দু’টি ইঞ্জিনের জ্বালানির সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ মোডে  চলে যায়। 

এই রিপোর্ট সামনে আসার ওপর পাইলটের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ব্ল্যাকবক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, পাইলট স্বয়ং জ্বালানির সুইচ বন্ধ করেন। এরপরই বিতর্ক চরমে ওঠে। এই নিয়ে পাইলট সংগঠনের পক্ষ থেকে বিরোধিতা করা হয়।  তাদের দাবি ,"প্রমাণ ছাড়া পাইলটদের দোষী সাব্যস্ত করা একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীন। এভাবে রিপোর্ট প্রকাশ করা তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।" তারা আরও জানান,ক্যাপ্টেন সুমিত সভরওয়ালের রয়েছে ৮২০০ ঘণ্টা উড্ডয়নের অভিজ্ঞতা। সহকারী পাইলট ক্লাইভ কুন্দর ছিলেন ১১০০ ঘণ্টা উড্ডয়নের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এই দুই অভিজ্ঞ পাইলটের ‘ভুল করে’ জ্বালানি বন্ধ করে দেওয়া অত্যন্ত অবিশ্বাস্য বলে মনে করছেন অনেকেই।